স্প্রেডশীট হলো সেল ও কলামের টেবল যেখানে আপনি টেক্সট ডাটা ও সংখ্যা উভয়ই এন্ট্রি ও সংরক্ষণ করতে পারেন। এছাড়া এতে জটিল ও সহজ যেকোনো ক্যালকুলেশন-ই করতে পারেন। এই পোস্টে আপনি চেষ্টা করেছি কর্মক্ষেত্রে স্প্রেডশীটের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে।

চলুন দেখে নেয়া যাক কর্মক্ষেত্রে আমরা কিভাবে কিভাবে স্প্রেডশীটের ব্যবহার করতে পারি –

  • ডাটা সংরক্ষণ ও সাজানোঃ
    • স্প্রেডশীটে সংখ্যার যে কোনো কাজ করতে পারবেন।
    • বিভিন্ন সেল এর রেইঞ্জের জন্য সংখ্যায় কত দশমিক পয়েন্ট পর্যন্ত থাকবে এবং সংখ্যার ধরণগুলি যেমন তারিখ, সময়, কারেন্সি, পারসেন্টেন্স নির্ধারণ করতে পারবেন ইজিলি।
    • অফিসের স্টাফদের নাম, আইডি নাম্বার, ফোন নম্বর ও তাদের ব্যয়ের হিসেব তারিখ ও খরচের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করতে পারবেন খুব সহজেই।
  • ক্যালকুলেশনঃ
    • আপনি যে কোনও হিসেবের ক্যালকুলেশন সহজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারবেন স্প্রেডশীট সেট-আপ করেই।
    • স্প্রেডশীটে কি সংখ্যা আছে, তা এখানে ম্যাটার করেনা। সেল এর রেইঞ্জ নির্ধারণ করেই হিসেব ক্যালকুলেট করতে পারবেন।
    • স্প্রেডশিট ইউজাররা তাদের কাজের রেজাল্টটি সারি বা কলামের শেষের দিকে করে থাকেন।
  • What If কুয়েশ্চেনঃ
    • স্প্রেডশীট তার ইউজারদের এই What If কুয়েশ্চেনটি করতে শিখায়। যা ব্যবসায় ও ফিনানশিয়াল প্লানিং করার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
    • প্রজেক্টের রানিং এক্সপেন্স প্রফিটের উপরে প্রভার ফেলবে কিনা তা অনুমান করে অপারেটিং এক্সপেন্স আগেই কমিয়ে আনতে পারেন।
  • ডাটা উপস্থাপনঃ
    • ডাটা রেকর্ডিংসহ ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সবক্ষেত্রেই স্প্রেডশীট অপরিহার্য হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে।
    • স্প্রেডশীটের সাহায্যে আপনি বিভিন্ন গ্রাফিকাল ফরম্যাটে ডাটা দেখতে পারবেন।
    • এর বার গ্রাফগুলি সময়ের সাথে ডাটার উত্থান-পতনকে হাইটলাইট করে যা আপনাকে স্ট্যাটাস বুঝতে সাহায্য করে।

বর্তমানে স্প্রেডশীট ব্যবসায়ে বা কর্মক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। সংখ্যা, ডাটা এন্ট্রি, ডাটা সংরক্ষণ, সাজানো এবং তা ক্যলকুলেশনের কাজেই মূলত স্প্রেডশীট বেশী ব্যবহার হচ্ছে। ইউজাররা এর সাহায্যে ব্যবসায়ের ফিনানশিয়াল ফোরকাস্ট আগেই পেয়ে থাকে, তাই পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া সহজ হয়।