যতই নতুন নতুন টেকনোলজি আমরা ব্যবহার করছি ততই অন্যদের সাথে আমাদের বিজনেস কমিউনিকেশন সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে। আপনার কাস্টমার ই আপনার বিজনেস এর মূল চালিকা শক্তি।

বর্তমানে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা অনায়াসেই আমাদের কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে পারি। আমি এই ব্লগে কাস্টমারের সাথে কমিউনিকেশনের কার্যকরী উপায় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

চলুন কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশনের ৮ টি কার্যকরী উপায় জেনে নেওয়া যাক –

  • ইমেইলঃ
    • কাস্টমারের সাথে কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ইমেইল পুরানো ট্রেন্ড মনে হলেও এটিই কমিউনিকেশনের জন্য সবচেয়ে সস্তা, সুবিধাজনক ও দ্রুততম মাধ্যম।
    • কাস্টমার কমপ্লেইন থেকে শুরু করে নতুন অর্ডার নেওয়া পর্যন্ত যেকোনো বিষয়ে কমিউনিকেশন রাখতে ইমেইল ব্যবহার করতে পারেন।
  • ওয়েবসাইটঃ
    • ব্যবসা করতে গেলে ওয়েবসাইট থাকা জরুরি।
    • আপনার কাস্টমাররা তথ্যের জন্য আপনার ওয়েবসাইটের উপরে নির্ভর করবে।
    • ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আজকাল পণ্যের অর্ডার নেওয়া এবং ডেলিভারীর সময় জানানো হচ্ছে।
    • এছাড়া পেমেন্ট গেটওয়েও রাখতে পারছেন ওয়েবসাইটেই।
  • ফোন টেকনোলজিঃ
    • এর সাহায্যে স্বল্প সময়ে অনেক কাস্টমারের সাথে কমিউনিকেশন করা যাচ্ছে।
    • কাস্টমাররা অটোমেটেড মেন্যুর মাধ্যমেই জানতে পারছে তাদের প্রোডাক্ট আপডেট বা সম্ভাব্য সব প্রশ্নের উত্তর।
    • এমনকি তারা সার্ভিস পেতে আপনার প্রতিষ্ঠানের সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে পারছে।
  • টেক্সট ম্যাসেজিংঃ
    • টেক্সট ম্যাসেজিং করে কাস্টমারের সাথে কানেক্ট হতে পারেন।
    • পণ্যের অর্ডার নেওয়া, ডেলিভারি টাইম ও ক্লায়েন্টদের সাথে মিটিং এর টাইম সহজেই জানাতে পারেন টেক্সট ম্যাসেজিং এর মাধ্যমে।
  • ওয়েব চ্যাটঃ
    • আপনার বিজনেস ওয়েবসাইটের চ্যাট অপশনে কাস্টমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়েবচ্যাটিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে।
    • তাতে ক্লায়েন্টদের পক্ষে আপনার কাছে পৌঁছানো ও আপনার পক্ষে তাদের সাহায্য করা সহজ হচ্ছে।
  • সোশ্যাল মিডিয়াঃ
    • আপনার ব্রান্ড ও প্রোডাক্ট প্রমোট করতে ইনস্টাগ্রাম, ফেইসবুক পেইজ ও টুইটার হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে পারছেন।
    • এছাড়া কাস্টমারদের সাথে আপনার রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেইসবুকে ওয়ান-টু-ওয়ান কমিউনিকেশন করতে পারছে।
  • ভিডিও ম্যাসেজিংঃ
    • স্কাইপের মতো ভিডিও ম্যাসেজিং প্লাটফর্মগুলো আপনাকে কাস্টমারের সাথে ফেইস-টু-ফেইস মিটিং এর সুযোগ করে দিচ্ছে।
    • যার ফলে কাস্টমার রিলেশন মেইনটেইন ও ট্রানজেকশন করা আরো সহজ হচ্ছে।
  • হ্যান্ড-রিটেন নোটঃ
    • বিভিন্ন অকেশনে আপনি কাস্টমারদের সরাসরি থ্যাংক-ইউ কার্ড পাঠিয়ে বা ইমেইলে হ্যান্ড-রিটেন নোট পাঠিয়ে উইশ করতে পারেন।
    • এই মেথড আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি কাস্টমারদের মনে একটি ভালো ইম্প্রেশন তৈরি করাতে পারে।

সময় সুযোগ বুজে কাস্টমারের সাথে কমিউনিকেশনের উপায়গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজেই। আপনাদের জানা মোতে আর কোন উপায় কি আছে? যদি থেকে থাকে আপনি কমেন্টে জানাতে পারেন।