ফাইবার এ অনেক টাইপের গিগ দিয়ে আপনি আর্ন করতে পারেন। এইটা মনে রাখুন – আপনার দক্ষতাই হতে পারে আপনার সমৃদ্ধির উপায়। যদি আপনার দক্ষতা না থাকে তাইলে বিভিন্ন ট্রিকস ইউজ করে আপনি আর্ন করতে পারেন কিন্তু সেটি আপনার জন্য লংটার্ম আর্নিং বয়ে আনবে না এইটা শিউর থাকুন।

আমি সাজেস্ট করবো আপনি এট-লিস্ট একটি কাজে দক্ষ হন , ভালোমত কাজ শিখুন এবং এগিয়ে যান। এই ব্লগে ফাইবার গিগ থেকে আর্নিংয়ের দশটি সেরা উপায় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি।

চলুন দেখে নেওয়া যাক –

  • রিসার্চ: 
    • অনলাইন গবেষণা বা রিসার্চ সেক্টরে আপনি যদি দক্ষ হন তাইলে এই সেক্টরটি আপনি এক্সপ্লোর করতে পারেন।
    • এ কাজটি করতে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।
    • আপনি বিভিন্ন কোম্পানি কিংবা কোন ক্লায়েন্টের হয়ে কাজ করতে চাইলে আপনাকে ধৈর্য নিয়ে ওই কোম্পানি বা ক্লায়েন্ট রিসার্চ ডাটা দিবে ওই ডাটা নিয়ে আপনাকে রিসার্চ করে একটি সলিউশন বের করতে হবে।
    • আপনার রিসার্চ যত ভাল হবে ততই আপনার আর্নিং কেপাবিলিটি বেড়ে যাবে।
    • কলকায়েন্ট যদি আপনার কাজ পছন্দ করে তাইলে আপনি ইন ফিউচার ওই ক্লায়েন্টের কোন রিসার্চ প্রজেক্ট থাকলে তাও পেতে পারেন।
  • ই-বুক কভার ডিজাইনঃ 
    • ই-বুক কভার ডিজাইন একটি ক্রিয়েটিভ কাজ।
    • এই কাজ করতে হলে আপনার ক্রিয়েটিভ মনমানসিকতা থাকা চাই।
    • যতই ক্রিটিভিটি দেখতে পারবেন ততই আপনার আর্নিং কেপাবিলিটি বেড়ে যাবে।
    • আপনি যদি আপনার গিগ রেঙ্ক করতে পারেন তাইলে ই-বুক কভার অথবা কাস্টম টেমপ্লেট ডিজাইন করে আপনি আপনার ফাইবার গিগ থেকে প্রচুর আর্ন করতে পারেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দক্ষতাঃ 
    • আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার জয়জয়কার।
    • সকল বিজনেস তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্স দেখানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
    • একটি বিজনেস তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেক ভিসিটর রিচ করতে পারে এবং ওই ভিসিটরগুলোই কিন্তু একসময় ওই বিজনেস এর ক্রেতা হবে।
    • সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন বিজসেন কোম্পানির হয়ে ভাইরাল পোস্ট করে, ফলোয়ার্স ও লাইকস্ বাড়ালে রয়েছে প্রচুর আর্নিং এর সুযোগ।
  • লেখার প্রুফরিডিংঃ 
    • লিখালিখির প্রতি আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি এক্সপ্লোর করতে পারেন।
    • যদি গ্রামারে আপনি দক্ষ হন তাইলে কোন লেখা বা কন্টেন্টের প্রুফ রিডিং করে আপনি প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারেন।
    • স্টুডেন্ট, রিসার্চার থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি এই ধরণের কাজের সুযোগ দিয়ে থাকেন।
    • আপনার ফাইভার গিগটি প্রুফরিডিং গিগ হিসাবে সাজাতে পারেন।
  • টিচিং:
    • অন্যকে শেখানো জড়ো আপনার শখ হয়ে থাকে তাইলে আপনি টিচিং গিগ ক্রিকেট করে অন্যদের বিভিন্ন স্কিল শেখাতে পারেন।
    • বাগানকরা, ফুটবল খেলা, গান-করা, গিটার/ভায়োলিন বাজানো ইত্যাদি আপনার শখ হলে অন্যকে এগুলো শেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা রোজগার করতে পারেন।
  • কনটেন্ট লেখাঃ
    • কনটেন্ট লেখালিখির স্কিলটি যদি আপনি আয়ত্ত করতে পারেন তাইলে আপনার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
    • আপনি ফাইভারে জাস্ট লেখালিখির একটি গিগ ক্রিয়েট করে ওই গিগে ভিসিটর নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।
    • ফাইভারে কন্টেন্ট লিখতে চায় ওইরকম প্রচুর ক্লায়েন্ট আপনি পাবেন।
    • নিজের পছন্দমতন কনটেন্ট লিখে টাকা রোজগার করুন সহজেই।
  • ব্লগ কমেন্টিং:
    • ব্লগে মন্তব্য বা ব্লগ কমেন্টিং এর ও অংকে কাজ রয়েছে ফাইভারে।
    • ব্লগারদের ব্লগে ক্লায়েন্টের নীড অনুযায়ী মন্তব্য লিখেও আপনি টাকা রোজগার করতে পারেন।
    • আপনি যদি ফাইভারে ব্লগ কমেন্টিং গিগ খুলেন তাইলে সহজেই ক্লায়েন্ট আপনাকে হাইয়ার করতে পারবেন।
  • ভয়েসওভার:
    • আপনি ভিডিওতে কন্ঠ দিয়ে বা ভয়েসওভার করেও ও আর্ন করতে পারেন।
    • আপনি যদি ফাইভারে ভয়েসওভার লিখে সার্চ দেব তাইলে দেখবেন ভয়েসওভার রিলেটেড অনেক গিগ রয়েছে এবং তারা খুবই ভাল অর্জন করছে।
    • যে কোন ধরনের ভিডিও বা অডিওতে আপনার ভয়েস ব্যবহার করে ভাল আর্ন করুন সহজেই।
  • ট্রান্সলেটর:
    • ভাষা অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর স্কিলটির হিউজ ডিমান্ড রয়েছে।
    • ফাইভারে আপনি ‘ট্রান্সলেট’ টার্মটি দিয়ে সার্চ করেই দেখুন। দেখবেন ওই রিলেটেড প্রচুর গিগ রয়েছে।
    • যদি আপনি বহু ভাষিক হন বা কয়েকটি ভাষা জেনে থাকেন তাইলে যে কোন ডকুমেন্ট ট্রান্সলেট করে প্রচুর আর্ন করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত হতে এই ধরণের কাজগুলো দিয়ে অনায়াসে শুরু করতে পারেন। আর ফাইভার হল লিডিং মার্কেপ্লেসগুলোর মধ্যে অন্যতম। আপনি আপনার একাউন্ট ওপেন করে একটি গিগ দিয়েই ফাইভারে শুরু করতে পারেন।