ডিসট্র্যাকশন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি সাইলেন্ট কিলার। যে কোন কেরিয়ারের মতো ফ্রিল্যান্সিং-এ ও ডিসট্র্যাকশন হয়ে থাকে। আপনি সফল হলে যেমন রোজগারের অফুরন্ত সুযোগ সম্ভাবনা রয়েছে তেমনই ডিসট্র্যাকশন এর জন্য এই ফিল্ডে ট্র্যাক থেকে হারিয়েও যেতে পারেন নিমিষেই। একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ডিসট্র্যাকশন এর মধ্যে পরে যান।

এই ব্লগে ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত যে যে বাধাগুলোর সন্মুখিন হয় তার সাথে সাথে এই বাধাগুলো কিভাবে অ্যাভয়েড করা যেতে পারে তা তুলে ধরা হল। 

  • সোশ্যাল মিডিয়াঃ 
    • সোশ্যাল মিডিয়া ডিসট্র্যাকশন :
      • আমরা কমবেশি সবাই এই ডিসট্র্যাকশনের সঙ্গে পরিচিত।
      • আমরা নিজেদের অজান্তেই ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম স্ক্রল করতে করতে আমাদের মূল্যবান সময়ের অনেকটা ব্যয় করে ফেলি।
    • সোশ্যাল মিডিয়া ডিসট্র্যাকশন রোধ:
      • এই অবস্থাকে আটকাতে প্রথমেই আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের টাইম নির্দিষ্ট করে নিতে হবে।
      • যেসব অ্যাপ আপনাকে ক্রমাগত তথ্য দেয় যে আপনি সারাদিন কতটা সময় খরচ করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেসব অ্যাপ ফোনে রাখুন।
      • সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোন ট্র্যাপ থেকে নিজেকে সতর্ক রাখুন।                      
  • ইমেইলঃ
    • ইমেইল ডিসট্র্যাকশন :
      • যে কোন ফ্রিল্যান্সারের কাছেই সবার সঙ্গে কানেকশান রাখা খুব জরুরি। এজন্য তারা ইমেইল ব্যবহার করেন।
      • ঘন ঘন ইমেইল ব্যবহারের ফলে কাজে ডিসট্র্যাকশন সৃষ্টি হতে পারে।
    • ইমেইল ডিসট্র্যাকশন রোধ:
      • সারাদিনের কাজের মধ্যে একবার ৩০-৬০ মিনিট সময় রাখুন, সকালের দিকে, মেইল চেক করার জন্য।                 
  • ফোনঃ
    • ফোন ডিসট্র্যাকশন :
      • ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের পরিবার ও বন্ধুরা তাদের সবসময়ই অ্যাভেইলএবল ভাবে।
      • ফলে কাজের পিক টাইমে আপনাকে কোন কল রিসিভ করতে হতে পারে। এর ফলে কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
    • ফোন ডিসট্র্যাকশন রোধ:
      • কাজের মাঝে আপনার ফোন সাইলেন্ট রাখুন।
      • কাজ থেকে ফোনটা দূরে রাখুন।
      • প্রতি ৪৫ মিনিট অন্তর পাঁচ মিনিটের জন্য ফোনটা চেক করতে পারেন।
  • অনির্দিষ্ট ওয়ার্ক আওয়ারসঃ 
    • অনিয়মিত কাজের ফলে ডিসট্র্যাকশন :
      • খুব বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অন্তরায়।
      • অদ্বিতীয় ও স্বতন্ত্র ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনার নির্দিষ্ট সময়সীমায় কাজ করা উচিত।
    • এই ডিসট্র্যাকশন রোধ:
      • প্রয়োজন ও তাগিদ বেসিসে আপানি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করুন। এতে আপনার ক্ষতি না হয়ে বরং লাভ হবে।
      • কাজে ব্রেক নিন, টাইমের কাজ টাইমে শেষ করুন।
      • নিজের শরীর ও মন সুস্থ রাখুন।     
  • অনির্দিষ্ট ওয়ার্কস্পেসঃ 
    • ওয়ার্কস্পেস ডিসট্র্যাকশন :
      • প্রত্যেকদিনের কাজ কে আরও উন্নত করতে একটা স্থায়ী ওয়ার্কস্পেস দরকার।
      • যেমন তেমন করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসলে কাজ যে হবে না, তা নয়। কিন্তু প্রফেশনাল কাজ আপনাকে ঠিক ভাবেই করতে হবে।
    • ওয়ার্কস্পেস ডিসট্র্যাকশন রোধ:
      • এই ডিস্ট্র্যাকশানের জন্য আপনার ঘরেরই নির্দিষ্ট, পছন্দসই কোনো স্থানকে ওয়ার্ক জোন বানিয়ে তুলুন।
      • অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং টিম মেম্বারদের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিক রাখতে পারেন নিজের জায়গা থেকেই।          

আশা করি ওপরের পয়েন্টগুলো থেকে ফ্রিল্যান্সিং কেরিয়ারের সম্ভাব্য বাধাগুলো সম্পর্কে আপনার একটা পরিষ্কার ধারণা জন্মাবে। এখানে বলা সলিউশানগুলো ফলো করে ডিসট্র্যাকশনগুলো যাতে কোনভাবেই আপনার গ্রোইং কার্ভকে প্রভাবিত না করে সেই দিকে আজই নজর দিন।