আপওয়ার্ক একটি লিডিং ফ্রিলেন্সিং প্লাটফর্ম। আপনি লিজ বাড়িতে বসেই অনেক কাজ করতে ফ্রিলেন্স কাজ করতে পারেন আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে। কিন্তু আপনি যে যবে এপ্লাই করবেন তার কিছু স্ট্রাটেজির মধ্যে প্রথম স্ট্রাটেজি হল পাওয়ারফুল প্রপোজাল লিখা। আপনি যতই এটেনশন গ্র্যাবিং পাওয়ারফুল প্রপোজাল লিখে ক্লায়েন্টের মন জয় করতে পারবেন ততই আপনার কাজ পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
তাইলে বুজা যাচ্ছে ফ্রিলেন্স কাজ পাওয়ার জন্য প্রপোজাল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ব্লগে আমি কিভাবে আপওয়ার্কের জন্য পাওয়ারফুল প্রপোজাল লিখবেন তার কিছু টিপস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। চলুন টিপসগুলো ঝটপট পরে ফেলি –
- কপি-পেস্টঃ
- কপি-পেস্ট কে না বলুন। আমি আবার জোর দিয়ে বলছি – কপি-পেস্ট কে না বলুন।
- কপি-পেস্ট পানার জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে যেতে পারে। এর ফাইনাল পরিণতি হল মার্কেটপ্লেসে কাজ না পাওয়া।
- যে কোন ক্লায়েন্ট সবচেয়ে বেশী বিরক্ত হন কপি পেস্ট প্রপোজাল দেখে৷ একজন দক্ষ ক্লায়েন্ট সেকেন্ডের মধ্যেই ধরতে পারবেন যে আপনার লিখাটি একটি কপি পেস্ট প্রপোজাল। সো, এইটা না করাই ভালো হবে আপনার জন্য।
- এটায় প্রমাণ হয় আপনি এ কাজে সিরিয়াস নন। তাইলে বলুন, ক্লায়েন্ট কেন আপনাকে হাইয়ার করবে।
- ক্লায়েন্ট নেমঃ
- ক্লায়েন্ট নেম দিয়ে যখন আপনার কাভার লেটার শুরু করবেন ক্লায়েন্টের সাথে আপনার একটা কানেকশন ক্রিয়েট হবে।
- এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের চাইতে এগিয়ে থাকবেন।
- যদি সম্ভব হয়, আপনার প্রপোজালে রিভিউ সেকশন স্ক্রল করে ক্লায়েন্টের নাম জেনে তা লিখুন।
- ক্লায়েন্ট খুশি হবে এতে। আপনার কভার লেটারটা তার কাছে আকর্ষণীয় হবে।
- এক্ষেত্রে, ক্লায়েন্ট থেকে আপনি একটি মেসেজ আশা করতে পারেন।
- ‘আই’ কথাটি কম লিখুনঃ
- ‘আই’ কথাটি যতসম্ভব কম লিখুন।
- আপনার লিখায় যতই ‘আই’ থাকবে ততই লিখাটি অসুন্দর হয়ে উঠবে।
- তাই ‘আই’, ‘মি’, ‘মাই’ এর ব্যবহার আপনার প্রপোজালে কম করার চেষ্টা করুন। এগুলোর বেশি ব্যবহার আপনার প্রপোজালকে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলবে।
- এর ফলে ক্লায়েন্ট ও আপনার সাথে আর কথা বলতে উৎসাহিত হৰেন না।
- ক্লায়েন্টের সমস্যাকে চিহ্নিত করুনঃ
- ক্লায়েন্টের সমস্যাকে চিহ্নিত করা সবচেয়ে ভাল স্ট্রাটেজি।
- আপনি যতই ক্লায়েন্টের সমস্যাগুলোকে এড্রেস করবেন ততই ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি মুগ্ধ হবেন।
- তাই আপনার প্রপোজাল লেখার সময় ক্লায়েন্টের মূল সমস্যা ও প্রয়োজনকে চিহ্নিতকরার চেষ্টা করুন।
- তার সমস্যা সমাধানে কেন আপনিই যোগ্য সেটা বুঝিয়ে বলতে ভুলবেন না যেন।
- স্ট্রং ওয়ার্ডঃ
- আপনার প্রপোজালে কিছু স্ট্রং ওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন।
- এই স্ট্রং ওয়ার্ডগুলো আপনাকে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সার থেকে আলাদা করে তুলবে।
- আপনার প্রপোজালটি স্ট্যান্ড আউট হবে এই স্ট্রং ওয়ার্ড এর জন্যই।
- তাই ক্লায়েন্টের নজরে যদি পড়তে চান তাইলে আপনার কভার লেটারে অবস্যই কিছু স্ট্রং ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- প্রচলিত ল্যাঙ্গুয়েজ এড়িয়ে চলুনঃ
- প্রচলিত ল্যাঙ্গুয়েজ এড়িয়ে চলা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
- আপনার ল্যাঙ্গুয়েজ এর ধরণ দেখেই ক্লায়েন্ট আপনাকে সিলেক্ট করতে পারেন।
- আপনি কত দক্ষ, কত ক্রিয়েটিভ, কতটা কমিটেড এসব লিখবেন না কভারে।
- আপনিআপনার কোয়ালিফিকেশনে জোর দিয়ে প্রমাণ করে দিন আপনি ক্লায়েন্টের কাজটি করার ভাল যোগ্যতা রাখেন।
- সমস্যা সমাধানঃ
- ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আসবে সমস্যা সমাধানের জন্যই।
- ক্লায়েন্টের সমস্যা আপনি কীভাবে সমাধান করবেন তা জানান সংক্ষিপ্ত বর্ননায়।
- ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে প্রমিজিং ফ্রিল্যান্সার মনে করেন তাইলে কিন্তু আপনাকে হাইয়ার করে নিবেন।
- পোর্টফলিওর লিংকঃ
- আপনার প্রপোজালে পোর্টফলিওর লিংক থাকা খুবই জরুরি।
- তবে মনে রাখবেন এই লিংকে যেন আপনার কোন কন্টাক্ট ইনফরমেশন না থাকে।
- আপনার পোর্ট ফোলিওর একটা লিংক আপনার কভার লেটেরটিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করবে মাস্ট।
- এতে ক্লায়েন্ট এর ও আপনাকে বেছে নিতে সহজ হবে।
- টাইপোঃ
- ক্লায়েন্টের চুখে টাইপো একটি মারাত্মক লেভেলের অপরাধ।
- কভার লেটার বানান ভুল বা টাইপো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
- এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট আপওয়ার্ক অথরিটিকে রিপোর্ট ও করতে পারেন। তাই আগে থেকেই সাবধান হয়ে নেয়া ভাল।
- অপ্রাসঙ্গিক স্কিলঃ
- অপ্রাসঙ্গিক স্কিল লিস্ট আউট করে ক্লায়েন্টের সময় অপচয় করবেন না।
- এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি খুবই বিরক্ত হবেন।
- যে দক্ষতা আপনার ওই কাজে লাগবে না, সেই স্কিলের উল্লেখ করে কভার লেটার ভরাবেন না।
- কেবলমাত্র স্পেসিফিক স্কিলগুলোই উল্লেখ করা ভাল হবে এবং ক্লায়েন্ট ও এটি পছন্দ করবেন।
আপওয়ার্ক থেকে কাজ কে না পেতে চায়। এই টিপস্ গুলো কাজে লাগালে আশা করা যায়, আপনি খুব শিগগিরই আপওয়ার্কে কাজ পাবেন।