আপওয়ার্ক একটি লিডিং ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। আপওয়ার্ক জবে অ্যাপ্লাই করার আগে আপনাকে অনেকগুলো জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করতে যাওয়ার আগে কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।
- সময়:
- কত সময় আগে প্রোজেক্টটা পোস্ট হয়েছে তা দেখে নিন প্রথমেই।
- প্রোজেক্ট যত ভালই হোক না কেন তা পোস্ট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাপ্লাই করে ফেলুন না হলে হাজারো প্রোপোসালের ভিড়ে আপনারটা হারিয়ে যাবে।
- জব টাইটেল:
- যব টাইটেল কতটা স্পেসিফিকভাবে ক্লায়েন্ট দিয়েছেন তা দেখে নিন।
- যব টাইটেল দেখে কাজটি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা হলে তবেই প্রোপোসাল পাঠান আর না হলে প্রোপোসাল পাঠানো থেকে বিরত থাকুন।
- যব ডেসক্রিপশান:
- যব ডেসক্রিপশান বিস্তারিতভাবে লেখা কি না তে দেখেনিন ভাল করে।
- আরো দেখে নিন যব ডেসক্রিপশানে কাজটিতে আপনার ভূমিকা কি হবে সেই নিয়ে স্পষ্টতা রয়েছে কিনা।
- আওয়ারলি না ফিক্সড:
- প্রজেক্ট টি আওয়ারলি নাকি ফিক্সড-প্রাইস তা দেখে নিন।
- ক্লায়েন্ট আওয়ারলি নাকি ফিক্সড-প্রাইস কনট্র্যাক্ট অফার করছেন সেটা দেখে আপনি ডিসাইড করুন আসলেই জবটিতে এপ্লাই করবেন কিনা।
- ক্লায়েন্ট কত সময় দিয়ে প্রস্তুত:
- দেখে নিন কাজটা করতে ক্লায়েন্ট আপনাকে কত সময় দিয়ে প্রস্তুত
- যব ডেসক্রিপশানের নিচেই পাবেন ক্লাইন্ট কাজটির জন্য সপ্তাহপিছু কত ঘণ্টা সেট করেছেন। এটি থেকেই আপনি একটি আইডিয়া পাবেন।
- প্রোজেক্টটা সাইজ:
- প্রোজেক্টটা কত বড় তার একটি আইডিয়া নিন।
- জেনে নিন প্রোজেক্টটা কতদিনের বা কত মাসের। তবে শুরুর দিকে লং-টার্ম কাজের দিকে না ঝোঁকাই ভালো।
- অভিজ্ঞতা:
- ক্লায়েন্ট এর কতখানি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন তা জানার চেষ্টা করুন।
- ক্লাইন্ট অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার চাইছেন নাকি অনভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার চাইছেন তা দেখে নিন। তবে ইন্টারমিডিয়েট অথবা এক্সপার্ট লেভেল অভিজ্ঞতা চাওয়া যবগুলোতে অ্যাপ্লাই করাই বাঞ্ছনীয়।
- ক্লাইন্টের ওয়ার্ক হিস্ট্রি:
- জবে এপ্লাই করার আগে আপওয়ার্কে ক্লাইন্টের ওয়ার্ক হিস্ট্রি যাচাই করুন।
- ক্লাইন্টের হিস্ট্রি আশানুরূপ হলে তবেই এগোন। হিস্ট্রি আশানুরূপ না হলে ওই জবটাতে এপলি না করাই উচিত হবে।
উপরের এই পন্থা গুলো যদি আপনি ফলো করেন তাইলে আপওয়ার্কে আপনাকে কোন যবে এপ্লাই করা উচিত আর কোনটাতে নয় সেটি সহজেই বুজে যাবেন।