বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। এ কাজে দক্ষ হতে হলে আপনাকে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাদের জন্য এখানে রইল সহজ ৭টি পদক্ষেপ।
- ফ্রিল্যান্সিং কি আপনার জন্য:
- ফ্রিল্যান্সিং এ নিজস্ব রুটিনে কাজ করলেই আপনি টাকা পাবেন।
- আপনি যদি ফুল-টাইম কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে এখনই সেই কাজ না ছেড়ে বরং তার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজও একসঙ্গে করে কাজের পরিধি বাড়ান।
- প্ল্যাটফর্ম সার্চ:
- আপনাকে কাজ শুরু করার আগেই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম খুঁজে বের করে নিতে হবে।
- লিঙ্কডিন এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও আপনার চাহিদা ও দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লাইন্টের সঙ্গেও আপনি কাজ করতে পারেন।
- আপনি একসাথে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সদস্য হলে আপনি অনেকগুলো কাজের পাশাপাশি ভালো আর্নিংও করতে পারেন।
- প্রোফাইল তৈরি:
- আপনার শিক্ষা, দক্ষতা, বিশেষত্ব এবং কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ভালভাবে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন ও এ কাজে কেন আপনিই সেরা তা ব্যাখ্যা করুন।
- পোর্ট-ফোলিও তৈরি:
- আপনার কাজের দক্ষতা ও বিশেষত্ব অনুযায়ী পোর্ট-ফোলিও তৈরি করে ক্লাইন্টের কাছে বিশ্বস্ত হয়ে উঠুন।
- পারিশ্রমিক নির্ধারণ:
- কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনুসারে আপনি প্রতি ঘন্টা বা প্রতি প্রজেক্ট হিসেবে আপনার পারিশ্রমিক নির্ধারণ করুন।
- কাজের সন্ধান:
- ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে আপনি সময় মত শেষ করতে পারবেন এমন কাজই খুঁজুন।
- আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে হাইলাইট করুন। ক্লাইন্টকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন।
- আপনি কাজ খুঁজতে ফেসবুক, লিঙ্কডিনের মতো সোশ্যাল সাইটও ব্যবহারকরতে পারেন।
- ক্লায়েন্ট সঙ্গে সুসম্পর্ক:
- নির্দিষ্ট ডেডলাইন মেনে, ক্লাইন্টের কাজের স্কোপ অনুযায়ী কাজ করে, কাজের গুনমান টিক রেখে ভালো কাজ ক্লায়েন্টকে উপহার দিয়ে পরবর্তী কাজের সুযোগ খুঁজুন।
- ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাজ পছন্দ করে তাইলে অবশ্যই তিনি তার পরবর্তি কাজগুলোও আপনাকে দিবেন এইটা অনেকাংশেই বলা যেতে পারে।
আপনি নতুন ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে যথাসম্ভব ভাল মানের ও চমকপ্রদ পোর্ট-ফোলিও তৈরি করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কাজের বিজ্ঞাপন দিয়েও আপনি নতুন নতুন ক্লায়েন্টের কাছে রিচ করতে পারেন। আর একটি কথা, ক্লায়েন্টের কাছে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করেতুলার চেষ্টা করুন। দিন শেষে আপনিই লাভবান হবেন এইটা শিওর থাকুন।