আপনার ফ্রীল্যান্স বিজনেস চলমান রাখতে আপনাকে নিত্য নাতুন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ফ্রীল্যান্স বিজনেসের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা অনেকটাই ক্লায়েন্টদের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং, ক্লায়েন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই এই ফিল্ডে আপনার সাফল্যের অন্যতম মূল মন্ত্র হওয়া উচিত।

এই কাজে আপনার সুবিধার জন্য রইল নিচের টিপসগুলো। চলুন এক্সপ্লোর করা যাক –

  • কমিউনিকেশন
    • কমিউনিকেশনকে আপনার সাকসেসের কি বলা যেতে পারে।
    • ফ্রিল্যান্সিং-এর ক্ষেত্রে সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে রাইট কমিউনিকেশানের ওপর।
    • সঠিক সময়ে সঠিক কমিউনিকেশন করার স্ট্রাটেজি আপনাকে শিখে নিতে হবে।   
    • ক্লায়েন্টের দরকারে সবসময় এগিয়ে আসুন, সরাসরি কথা বলুন, তাঁকে বুঝিয়ে দিন তাঁর প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা। 
  • ধারাবাহিকতা
    • ক্লায়েন্টের সাথে আপনার কাজের একটি ধারাবাহিকতা আপনাকেই সৃষ্টি করতে হবে। 
    • ক্লায়েন্টের সঙ্গে নিয়মিত কাজ নিয়ে কথা বলুন আর কেজের আপডেট দিন। 
    • ছোট ছোট কনভারসেশানের মাধ্যমে যোগাযোগ চালিয়ে যান, এতে আপনার ওপর ক্লায়েন্টের বিশ্বাস জন্মাবে।
    • প্রজেক্ট ডেলিভারি থেকে শুরু করে কাজের মান সব বিষয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। 
    • ক্লায়েন্ট আপনাকে হাইয়ার করতে কনফিডেন্ট ফীল করবে।
  • কনফিডেন্স ও পজিটিভিটি
    • কনফিডেন্স ও পজিটিভিটি, এই দুইটি ফেস্টোর এক সূত্রে গাতা। 
    • ক্লায়েন্টরা তাঁদের পছন্দের লোকের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসেন এটাই স্বাভাবিক। 
    • তাই যে কোন কমিউনিকেশানের সময় সর্বদা আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করবেন। 
    • আপনি এর প্রমান নিজের সামনেই দেখতে পারবেন কারণ এই দুটি উপাদান ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। 
    • দিন শেষে ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টিই আপনি চান, তাই না?
    • আপনার কনফিডেন্স ও পজিটিভিটি দিয়ে ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই কিন্তু আপনি আপনার বিজনেসের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।
  • ট্রাস্ট বিল্ডআপ 
    • ক্লায়েন্টের সাথে আপনার ট্রাস্ট বিল্ডআপ করার চেষ্টা করুন।  
    • ক্রমাগত ডেডলাইন অনুযায়ী আপনি আপনার কাজ সাবমিট করুন।
    • ক্লায়েন্টের সাথে স্বচ্ছ থাকুন। দেখবেন আপনার সাথে ক্লায়েন্টের ট্রাস্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    • কাজের বাইরে গিয়ে তাঁকে একজন মানুষের মতোই ট্রিট করুন, তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে ভুলবেন না। 
  • ক্লায়েন্ট এক্সপেক্টেশন 
    • ক্লায়েন্ট এক্সপেক্টেশন পজিটিভ মানে আপনার বিজনেস ট্রেন্ড ও পজিটিভ। 
    • ক্লায়েন্টের প্রত্যাশাকে বারবার ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। 
    • আপনার কাজের মান ক্লায়েন্টের আশাতীত হলে ভবিষ্যতে তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি কাজ পাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত।
    • ডেলিভারিটি রুচিসম্মতভাবে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করুন। 
    • কাজের বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিশদে আলোচনা করে ক্লায়েন্টের মন জয় করে নিন।
  • এক্সপেক্টেশন ম্যানেজমেন্ট
    • আপনাকে ক্লায়েন্টের এক্সপেক্টেশন ম্যানেজ করতে জানতে হবে। 
    • প্রত্যেকের জীবনেই খারাপ সময় আসে। এমন কোন কারণে যদি আপনার ডেলিভারি ডেডলাইন অতিক্রম করে যাওয়ার উপক্রম হয় তাহলে সে সম্পর্কে আগেভাগে ক্লায়েন্টকে জানান।
    • কাজটির খুঁটিনাটি নিয়ে আপনি কতটা সচেতন সেটাও উল্লেখ করুন, এতে ক্লায়েন্টের ভরসা জন্মাবে। 
  • কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা
    • কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা জানানো আপনার জন্য একটি পজিটিভ সাইড।
    • এতে ক্লায়েন্টের মনে আপনার প্রতি একটি আলাদা স্থান ক্রিয়েট হবে।  
    • ক্লায়েন্ট আপনাকে কখনও রেফারেল দিলে তাঁকে চিঠি অথবা মেইলে অবশ্যই কৃতজ্ঞতা জানাবেন। 
    • কাজের সময় ক্লায়েন্টের ধৈর্য্য, সহযোগিতারও প্রশংসা করুন।
    • ক্লায়েন্ট এর মাধ্যমে জানবে তার কাজের প্রতি আপনার ডেডিকেশন কতটুকু। 
  • সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করুন 
    • সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতে জোর দিন।  
    • সবশেষে, ক্লায়েন্টের সঙ্গে অর্থবহ, স্থায়ী সম্পর্ক কিভাবে বজায় রাখা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা আয়ত্ত্ব করতে শিখুন। 
    • নিয়মিত ভাবের আদানপ্রদান ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে সময়ের সাথে সাথে সম্পর্ক গভীর করে তোলার দিকে নজর দিন। 
    • এতে ফিউচারে কোন ক্লায়েন্টের কোন প্রজেক্ট আসলে ক্লায়েন্ট প্রথমে আপনার কথাই মনে করবেন।

ক্লায়েন্টই আপনার বিজনেসের প্রাণ শক্তি। ক্লিন্ট জোট সম্ভব কিভাবে ধরে রাখা যেতে পারে সে বিষয়ে নজর দিন। বিশ্বাস গড়ে ওঠে সম্পর্কের গভীরতা দিয়ে আর সম্পর্কের গভীরতা পারে নিয়মিতভাবে একজন ফ্রিল্যান্সারকে কাজ এনে দিতে। উপরে উল্লেখ করা উপায়গুলি আপনাকে এই কাজে অনেকখানি সাহায্য করবে।