মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন বিশাল একটা ফেক্টর। ভাল ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশনের উপরই নির্ভর করবে আপনি কি রকম কাজ পাচ্ছেন আর কতগুলা কাজ পাচ্ছেন। প্রফেশনাল, কর্পোরেট বা বিজনেস সেক্টরে ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগে ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশনের অসাধারণ সব টিপস নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। চলুন শুরু করা যাক।

ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশনের ৬ টি টিপস নিচে দেওয়া হলো-

  • আপনার ম্যাসেজটিকে সহজ করুনঃ
    • প্রথমত লক্ষ্যটি স্পষ্ট করুন এবং মনের মধ্যে জাস্ট একটি পরিষ্কার ম্যাসেজ রাখুন।
    • ক্লায়েন্টকে অনেকগুলি পয়েন্ট নিয়ে বলার চেষ্টা করে বিভ্রান্ত না করাই ভালো।
    • আপনার বার্তাটিকে শক্তিশালী করতে একটি চার্ট বা ডাটা এলেমেন্ট ব্যবহার করুন। তবে বোঝানো সহজ হবে।
  • সবসময় সক্রিয় থাকুনঃ
    • একটি স্ট্যান্ডার্ড সেট করুন এবং সেভাবে কমিউনিকেশন শুরু করুন। তারপরে এটি লক করে দিন।
    • যেমন- আপনার ক্লায়েন্টদের বলুন, প্রতি শুক্রবার সকালে আপনার কাছ থেকে একটি আপডেট আশা করতে এবং তারা এই ফিডব্যাক পেতে আপনাকে ফোলো-আপে রাখবে।
    • একটি রিদম তৈরি করুন যেনো ক্লায়েন্ট উদ্বেগ থাকলেও তা ফেইস করে সামনে এগোতে পারেন।
  • নিজস্বতা বজায় রাখুনঃ
    • সম্পর্ক তৈরির সময় আপনার পারসোনাল ম্যাসেজের নিজস্বতা ধরে রাখুন।
    • ক্লায়েন্টকে ব্লাস্ট ম্যাসেজ দেওয়া বাদ দিন।
    • আপনার ইমেল, কল বা টিপস তাদেরকে অনেককিছু ভাবাতে বা বোঝাতে পারে।
    • তারা যেসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন জিনিসেই তাদের ফোকাস রাখুন।
    • ব্যক্তিগত এমনকিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন, যা তারা রিলেট করতে পারে। ক্লায়েন্ট রিয়্যাকশন নিতে পারলে আপনার জন্য ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশনে উন্নতি করা সহজ হবে।
  • সহানুভূতি দেখানঃ
    • ক্লায়েন্টদের সহানুভূতি দেখান এবং বুঝতে দেন যে, আপনি জানেন তারা কোন বিষয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে আর কোনটাতে বিরক্ত।
    • আপনার ক্লায়েন্টরাও তা ফীল করতে পারবে। তারা কখন আপনার কোন বিষয়ে কেমন ফীল করছে তা যাচাই করুন।
    • আপনি ও ক্লায়েন্ট একে অপরের সাথে সিঙ্ক করে ফেললে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
  • লিডারশীপ ধরে রাখুনঃ
    • অবশ্যই ক্লায়েন্টরা আপনার মধ্যে লিডারশীপ খোঁজে।
    • তারা সবসময় আশ্বাস চায় যে আপনি তাদের পোর্টফোলিওগুলির জন্য সঠিক কাজ করছেন।
    • আশ্বাস পেলে তারা বুঝবে যে তারা সলিড গ্রাউন্ডেই আছে।
    • ক্লায়েন্টের উদ্বেগগুলি নিয়ে বুঝতে সিলভার লাইনিং খুঁজুন। ইফেকটিভ আইডিয়া সনাক্ত করুন।
  • ক্লায়েন্টের কমফোর্ট জোনঃ
    • কমিউনিকেশনে প্রত্যেকেরই বিভিন্ন পছন্দ-অপছন্দের দিক রয়েছে।
    • কীভাবে এবং কখন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তা নির্ধারণ করার সময় আপনার ক্লায়েন্টের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারটিও বিবেচনা করা দরকার।

সর্বোপরি মাথায় রাখতে হবে, আপনি সার্ভিস ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করলে সেক্ষেত্রে আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে কমিউনিকেশনই সবকিছু। সঠিক ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশনই আপনার কোম্পানি বা ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে পারে।