কাজ করতে নামলেই ভুল হবে এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক সিচুয়েশনটি যাতে অস্বাভাবিকতার পর্যায়ে চলে না যায় তা খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু আপনি ইন্টারনেশনাল ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করছেন আপনাকে অবশ্যই কাজের ক্ষেত্রে অনেক প্রফেশনাল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজে আপনি যদি অগ্রগতি চান তাইলে যতসম্ভব ফ্রিল্যান্সিংয়ের কমন ভুলগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

নীচের ১০টি সাধারণ ভুল সম্পর্কে জেনে রাখলে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ অনেকাংশেই সহজ হতে পারে।

চলুন জেনে নেয়া যাক ভুলগুলো কি এবং তা কিভাবে এড়িয়ে চলা যেতে পারে –

  • দক্ষতা নির্বাচনে ভুলঃ 
    • দক্ষতা নির্বাচনে ভুল হলে কিন্তু ফার্স্ট স্টেপেই আপনি একটা নেগেটিভিটির মধ্যে পরে গেলেন।
    • আপনার দক্ষতার মধ্যে পড়ে না এমন  জব অফার নেবেন না। আমি আবার বলছি, আপনার দক্ষতার মধ্যে পড়ে না এমন কাজ স্কিপ করে যান।
    • ক্লায়েন্টের চাহিদা আর আপনার দক্ষতা যদি ম্যাচ হয়ে যায় তাহলে ধরে নেয়া যায় কাজটি ভালো হবে।
  • ডেডলাইন মিসিংঃ
    • কখনোই ডেডলাইন মিস করা যাবে না।
    • আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিন ও সময়মত ডেলিভার করুন।
    • অনেকসময় আপনিই জেনে যাবেন যে আপনি ডেডলাইন মিস করতে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের সাথে আগেই বুঝাপড়া করে নিন।
  • প্রফেশনাল কাজে ক্যাসুয়াল মনোভাবঃ
    • প্রফেশনাল কাজে ক্যাসুয়াল মনোভাব থাকা আসলে আন-প্রফেশনাল।
    • ফ্রিল্যান্সিং এ যতই এই ক্যাসুয়াল মনোভাব এড়িয়ে চলবেন ততই আপনার জন্য মঙ্গল।
    • আপনি আপনার কাজের পারিশ্রমিক নেন, তাই আপনাকে প্রফেশনাল হতেই হবে।
    • ক্লায়েন্টের অবাস্তব অফার এড়িয়ে চলুন।
    • ক্লায়েন্টকে বুজানোর চেষ্টা করুন যে আপনি একজন প্রফেশনাল। ক্লায়েন্ যখন এটি বুজবেন তখন কিন্তু আপনার সাথে প্রফেশনাল আচরণ করবেন।
  • দক্ষতা বাড়ানঃ
    • সবসময় নিজের দক্ষতা বাড়াতে সচেষ্ট থাকুন।
    • দক্ষতা যতই বাড়াবেন ততই আপনি এই সেক্টরে এগিয়ে যাবেন।
    • ফ্রিল্যান্সিং-এ সবসময় সমান রোজগার হয় না। তাই দক্ষতা অনুযায়ী অন্য অপশন খোলা রাখুন।
    • এই দক্ষতাই আপনাকে যেতে পারে আপনার কেরিয়ারের উচ্চতম আসনে।
  • অত্যাধিক কাজঃ
    • অত্যাধিক কাজ নেওয়ার আগে দেখুন আপনার সময় হবে কিনা কাজটি করার।
    • বেশি রোজগার এর আশায় বেশি ওয়ার্কলোড ফ্রিলান্সারের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে।
    • এই ক্ষেত্রে ডেডলাইন ও মিস যহওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
    • অত্যাধিক ওয়ার্কলোড এক পর্যায়ে ভালো মনে হতে পারে কিন্তু ওভারঅল চিন্তা করলে এটি খারাপের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
  • ভুল প্রাইসিংঃ
    • ভুল প্রাইসিং এক সময় আপনার কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত গঠাতে পারে।
    • কাজের প্রাইসিং করার আগে সব খুঁটিনাটি বিষয় আওতায় আন্তে হবে।
    • আপনার কাজের স্ট্র্যাটেজিক প্রাইসিং করার চেষ্টা করুন।
    • কাস্টমার পেতে ভুল প্রাইসিং না করে, আপনি যা করতে পারেন তা হল আপনার কাজ অনুযায়ী ডিসকাউন্ট দিয়ে উপযুক্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ।
  • ‘না’ বলতে না পারাঃ
    • ক্লায়েন্টের কাজকে অনেক সময় ‘না’ বলতে হয়।
    • ‘না’ বলতে না পারাটা একসময় আপনার ফ্রিল্যান্স প্রফেশনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
    • যে কাজে আপনার উৎসাহ নেই, অনেক দামের কাজ হলেও তাকে না বলতে শিখুন।
    • অংকে ক্ষেত্রে আপনি না বললেন তো জিতে গেলেন কিন্তু।
  • ফিডবেক না চাওয়াঃ
    • আপনি সবসময় আপনার কাজের ফিডবেক নিতে শিখুন।
    • তাহলে আপনার কাজের সেক্টর সম্পর্কে আপনার একটি ভাল আইডিয়া ক্রিয়েট হবে।
    • আপনার কাজ নিয়ে ক্লায়েন্টকে কিছু বলতে না বলা আপনার কেরিয়ারের জন্য একটা বড় ভুল হতে পারে।
    • সহজে পরবর্তী কাজ পেতে আপনার বর্তমান ক্লায়েন্টকে অনুরোধ করুন রেফারেলস্ দিতে।
  • কন্ট্র্যাক্ট না করাঃ
    • রিমোট ওয়ার্কার কন্ট্র্যাক্ট না করাটা আন-প্রফেশনালিজম এর মধ্যে পরে।
    • আপনি সবসময় ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার আগে কন্ট্রাক্ট ক্রিয়েট করুন।
    • এতে আপনার লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
    • আপনার কাজে অন্যের হস্তক্ষেপ রুখতে প্রথমেই লিগ্যাল ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখুন।
  • অন্যের সাহায্য না নেওয়াঃ
    • অন্যের সাহায্য না নেওয়াটা আপনার কেরিয়ারের জন্য হুমকি স্বরূপ।
    • আপনি যতই অন্যের সাহায্য নিবেন ততই আপনি কেরিয়ারের এগিয়ে যাবেন।
    • ফ্রিল্যান্সিং-এর যাবতীয় কাজ একা না করে সঠিক কাজের জন্য মাঝেমধ্যে অন্যের সাহায্য নিন।
    • সবসময় সম মন মানসিকতার বন্ধুদের সাথে যুক্ত হয়ে সাহায্য নিতে পারেন।

 নেগেটিভ কমেন্ট থেকে শিখুন। ক্লায়েন্টের ফিডবেক থেকে শিখুন। নিজের স্কিলকে ডেভেলপ করুন। এই লিখাতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কমন ভুলগুলো এড়িয়ে চলার যে দশটি টিপস দিলাম সে টিপসগুলো মেনে চলতে পারলেই আপনি আপনার কেরিয়ারে দ্রুত উন্নতি দেখবেন এটা আশা করা যায়।